stay safe from cyber crime
আমরা ডিজিটাল জালিয়াতির যুগে বাস করি। গত তিন আর্থ বছরে, আরবিআই(RBI) জানিয়েছে যে হাজার হাজার ডিজিটাল জালিয়াতি(scheme) প্রকল্পগুলির লক্ষ্যবস্তু ছিল ভারত। দুর্ভাগ্যক্রমে, এই সময়ের মধ্যে এই বড় বড় অনলাইন প্রতারণার সংখ্যা ক্রমবর্ধমানভাবে বেড়েই চলেছে। বাস্তবতা হল গ্রাহকরা কীভাবে নিরাপদে ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে নেভিগেশন করবেন তা শিখছেন।
যেহেতু অনলাইন সুরক্ষার জন্য দায়বদ্ধতা গ্রাহকের উপর পুরপুরি অন্তর্ভুক্ত, গ্রাহকেই সম্পূর্ণ ভাবে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
সুতরাং, আপনাকে বর্তমানে স্কেম-প্রুফ থাকার জন্য অবশ্যই কিছু রুলস অনুসরণ করা প্রয়োজন। চলউন আলোচনা করা যাক।

১. আমরা অনেক সময় ভিবিন্ন ক্রয়-বিক্রয় এর ক্ষেত্রে লেনদেন গুলো ফোনআলাপের মাধ্যমে করে থাকি এবং ব্যাংক এর গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি ফোনাআলাপের মাধ্যমে আদান প্রদান করে থাকি করে থাকি তাছাড়া বেশি সংখ্যক লোক কোনও ফোন লাইনের শেষে কোনও অজানা ব্যক্তিকে পেমেন্ট এর জন্য ভিবিন্ন তথ্যাদি দিতে অনায়াসে সম্মত হয়। উদাহরণস্বরূপ, বীমা শিল্পে, গ্রাহকরা ফোন পোর্টালের মাধ্যমে সংবেদনশীল বিষয়গুলি সমাধান করার চেষ্টা করে নিজেকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেন। মুখোমুখি অ্যাপয়েন্টমেন্ট করা বিবেচনা করুন এবং সাবধানতার সাথে কাগজপত্র পর্যালোচনা করুন।

২. আপনি জানেন না এবং বিশ্বাস করেন না এমন কোনো উৎস থেকে মোবাইলের আপ্পস এবং কম্পিউটার এর জন্য সফটওয়্যার ডাউনলোড এবং ইন্সটল করবেন না কারন অনেক আপ্পস আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার এর গুরুত্বপূর্ণ ফাইল , লোকেশন ,প্রাইভেসি সহ অনেক কিছুতে অ্যাক্সেস এর পারমিশন নিয়ে নেয় যা আপনার অনেক ক্ষতি করার সম্ভাবনা রাখে।

৩. কখনও আপনার ইমেইল বা টেক্সট বার্তার মাধ্যমে, ইঙ্কাম ট্যাক্স বা ব্যাংক এর নাম করে অথবা অনলাইনে ফ্রম পূরণ বা লিঙ্ক এর মাধ্যমে আপনাকে আপনার ব্যাংক এর তথ্য দেয়ার জন্য রিকুয়েস্ট করলে তা সবসময় ইগনোর করবেন।

৪. এসএমএসের মাধ্যমে প্রাপ্ত লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করবেন না। পরিবর্তে, প্রয়োজনীয় যে কোনও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা ব্যাংক শাখার উপর নির্ভর করুন।

৫. নিরাপদ পাসওয়ার্ড বজায় রাখুন। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার অনুসারে, সর্বাধিক হ্যাক করা পাসওয়ার্ড গুলো অতি সাধারণ হয়ে থাকে যেমন 123456। তাই সবসময় বেতিক্রম পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করবেন।পাসওয়ার্ড গুলো টেক্সট,নুম্বেরস,ছোটো-বড় অক্ষর এবং চিহ্ন ব্যাবহার করে লিখবেন তাহলে হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা খুব কমে যাবে।
৬.ব্যাংক এ অর্থপ্রদান বা ইন্টারন্যাশনাল লেনদেন অথবা ব্যাংক এর সাথে কথা বলতে ক্ষেত্রে সোসিয়াল মিডিয়াতে যোগাযোগ করলে পেজটি ভেরিফাইড কিনা তা অবশ্যই চেক করে নিবেন। টুইটার এ ভেরিফাইড পেজে নিল কালার এর টিক মার্ক থাকে।

৭. অনলাইনে বর্তমানে অনেক অনলাইন ওয়ালেট আছে যার মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করা যায়। সেগুলো ব্যাবহার করার আগে ভালো ভাবে খোজ খবর নিয়ে অতঃপর ব্যবহার করবেন।
৮. কোনও ওয়েবসাইটে অনলাইনে অর্থ প্রদানের সময় সুরক্ষা বৈশিষ্ট্যগুলি পরীক্ষা করুন। অ্যাড্রেস বারে প্যাডলক আইকনটি সন্ধান করুন। এটি সিসি অ্যাভিনিউ বা ভেরিসাইন দ্বারা সুরক্ষিত কিনা।
৯. একটি সুরক্ষিত কম্পিউটার ব্যবহার করুন। অন্যরা অ্যাক্সেস করতে পারে এমন কম্পিউটার থেকে কখনই লেনদেন করবেন না।
মন্তব্য করুন